গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
গলা খুসখুস দূর করার সিরাপ
গলা খুসখুস সাধারণত এক ধরনের এলার্জি সংক্রমণজনিত অসুখ। এই সমস্যা দেখা দিলে রোগীর গলা খুসখুস ও গলার মধ্যে অস্বস্তি অনুভব হয়ে থাকে।গলা খুসখুস দূর করার সিরাপ এর নাম হল
* Dexpoten plus syrup
* Adovas syrup
* Alkof syrup
* Ocof syrup
*Alex syrup
*Mirakof syrup
*Askorel syrup
গলা খুসখুস সমস্যা নিয়ে আপনি চিকিৎসকের কাছে গেলে আপনাকে একটি পরীক্ষা দিবে। সে পরীক্ষা অনুযায়ী ডাক্তাররা আপনাকে ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকবে আপনার রোগের উপসর্গের উপর নির্ভর করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ওষুধ সেবন করবেন সমস্যা হবে না।
গলা ব্যাথার এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম
সাধারণত গলা ব্যথা নানা কারণে হয়ে থাকে। গলা ব্যথা নানা কারণ রয়েছে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথা হলে আগে নির্ণয় করা উচিত কি জন্য আপনার গলা ব্যথা হচ্ছে। আমাদের যখন প্রচুর পরিমাণে অবস্থা খারাপ হয়ে থাকে তখন আমরা এন্টিবায়োটিকের উপর নির্ভর করে থাকি। এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
গলা ব্যাথার এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম গুলো হলো
*cefuroxime : এই ওষুধটি প্রথম সারির এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। তাই এই সংক্রমণের জন্য নির্ধারিত এই ওষুধ।
*পেনিসিলিন : এই ওষুধটি প্রায় ব্যাকটেরিয়াজনিত গলা ব্যথার জন্য বিশেষ করে পছন্দ করা হয়েছে। যা গলা ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে থাকে।
*অ্যাজিথ্রোমাইসিন : এই ওষুধটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। এলার্জির জন্য একটি বিশেষ বিকল্প।
*অ্যামোক্সিসিলিন :এই ওষুধটি বহুল ব্যবহারিতা একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এই ওষুধটি স্টেপ গলার জন্য বিশেষ করে কাজ করে থাকে।
এই ওষুধগুলো সব সময় আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করবেন। কারণ এটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর আপনি যদি মনে করেন আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ নিবেন না তাহলে আপনি ঘরোয়া কিছু পদক্ষেপ ব্যবহার করে আপনি আপনার গলা ব্যথা ভালো করতে পারেন। এটি একটু বেশি সময় লাগবে যদি দেখেন কিছুতেই ভালো হচ্ছে না তখন সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
সাধারণত নানা কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। গলা ব্যথা সাধারণত কিছুদিনের জন্যও হতে পারে আবার দেখা যায় যে দীর্ঘদিন ধরেও গলা ব্যথা থাকে। যদি দীর্ঘদিন ধরে গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় যেমন :
গলা ব্যথার কারণে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হতে পারে।তাই দীর্ঘদিন ধরে যদি গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখানো ভালো।
*এলার্জিজনিত কারণ : আমাদের বিভিন্ন খাবার খেলে এলার্জি হয়ে থাকে। আর অনেক সময় দেখা যায় যে এই এলার্জির কারণে গলার ব্যথা হয়ে থাকে সে খাবারগুলো খেলে।
* ভাইরাস ইনফেকশন :অনেক সময় ভাইরাস ইনফেকশন যেমন জ্বর, সর্দি-কাশ ইত্যাদি হয়ে থাকে এগুলোর কারণেও গলা ব্যথা হয়ে থাকে।
*ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন : অনেক সময় আমাদের টনসিলের কারণেও গলা ব্যথা হয়ে থাকে আর এই টনসিল হয় ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনের কারণেই।
*ধূমপান : যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদেরও গলা ব্যথা হয়ে থাকে কারণ তাদের কফ বা কাশির মতো সমস্যা বেশি থাকে।
*পরিবর্তনশীল কারণ :আমাদের দেশের আবহাওয়া বিভিন্ন সময় চেঞ্জ হয়ে থাকে এজন্য কখনো গরম কখনো ঠান্ডা হয়ে থাকে। যার ফলে ঠান্ডা লেগে বা ঘাম বসে গলা ব্যথা শুরু হয়।
ইত্যাদি এগুলো কারণ ছাড়া ও অন্যান্য কারণেও গলা ব্যথা হতে পারে তাই দীর্ঘমেয়াদি গলা ব্যথা হলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি ডাক্তারে পরামর্শ নেওয়া উচিত। গলা ব্যাথার মূল কারণের উপর ভিত্তি করে ডাক্তার তখন ওষুধ সাজেস্ট করে থাকে।
গলা ব্যাথার কিছু ওষুধের নাম হলো
*এন্টিহিস্টামিনক ওষুধ : এন্টিহিস্টামিনিক ওষুধ সাধারণত এলার্জিজনিত গলা ব্যথার কারণে ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। এই ওষুধের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে যেমন :
১Fexofenadine :সাধারণত এই ওষুধ ব্যথা হলে ডাক্তাররা সাজেস্ট করে থাকেন। এই ওষুধের আবার ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে Fexo,Fenadin,Fexofast । এই ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।
২সেটিরিজিন : এই ওষুধটি ব্যথা নাশক ঔষধ। বাজারে সাধারণত এই ওষুধ Alatrol নামে পাওয়া যায়। এই ওষুধ যখন সেবন করবেন তার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ সব ওষুধেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
৩ রুপাটাডিন : সুতি বেথানা সকল ওষুধ। বাজারে সাধারণত এই ঔষধ নানা ধরনের পাওয়া যায় যেমন রুপা ১০ মিলিগ্রাম। রুপাটাডিন সাধারণত এন্টিহিস্টামিন জনিত ওষুধ। এ ওষুধটি সাধারণত খাবারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
* ডিকংজেস্টেন্ট : সাধারণত এই ওষুধটি গলা ব্যথা ও কাশি ভালো করার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ওষুধটির দুটি ভাগ রয়েছে যেমন
১Dextromethorphan : সাধারণত ডাক্তাররা এই ওষুধটি অতিরিক্ত যখন রোগীর ব্যথা হয় তখন দিয়ে থাকেন। সাধারণত এই ওষুধটি হাঁপানি রোগ, এলার্জি সম্পর্কিত রোগ ইত্যাদি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে।
২ Guaifenesin : সাধারণত এ ওষুধটি ব্যথা নাশক ঔষধ। যাদের ঠান্ডা লাগা বা কফ হয় তাদেরকে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন এই ওষুধ খাওয়ার জন্য।
*নন- স্টেরোয়িডাল , এন্টি -ইনফ্লুামেটরি ওষুধ : এই ধরনের যত ওষুধ রয়েছে সবই ব্যথা ভালো করে থাকে। এই ওষুধ আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন
১ Ibuprofen : সাধারণত এই ঔষধ ব্যাথা নাশক ওষুধ। ব্যথার সাথে সাথে ইনফ্লুমেটরি জনিত যত রোগ রয়েছে সব ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার রোগের উপর নির্ণয় করে পরামর্শ দিয়ে থাকবেন।
২Naproxen : এই ওষুধটি ব্যথা কমানোর ওষুধ। এ ওষুধটি বিভিন্ন নামে মার্কেটে পাওয়া যায় যেমন : aleve,naprosyn,
Anaprox ইত্যাদি। সাধারণত আপনার ব্যথার উপর নির্ণয় করে ডাক্তাররা এই ওষুধের ডোজ দিয়ে থাকেন।
প্রমুক্তারক ওষুধ : সাধারণত এই ওষুধগুলো গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে থাকে।এই ওষুধের মধ্যে রয়েছে
*Hydrocodone :সাধারণত এই ওষুধটি যাদের মাংস বেশি ব্যথাজনিত সমস্যা হয় তাদেরকে ব্যবহার করার জন্য ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। এই ওষুধটি অতিরিক্ত গলার ব্যথা ও তীব্র ব্যথা ভালো করার জন্য ভালো ফল দিয়ে থাকেন। ওষুধ কি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সকল ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
*Diclofenac : এই ওষুধটি শরীর ব্যথা থেকে তো সমস্যা ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। আবার শরীরের যত জীবাণু রয়েছে ও জ্বালানি প্রক্রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে থাকে।
এই সকল ঔষধি আপনি খুব সহজেই আপনার কাছের ওষুধের দোকানগুলোতে পেয়ে থাকবেন। এই ওষুধগুলো ব্যথা নাশক হওয়ায় আপনার ঝুঁকি একটু বেশি থাকতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় ওষুধ গুলো সেবন করবেন।
গলা ব্যথা সারানোর আরো কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেমন :
আমাদের অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা লাগার কারণে আবহাওয়া চেঞ্জ এর কারণে নানা রকম কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথা তাড়াতাড়ি সারানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে অনেক সময় তাড়াতাড়ি ওষুধ না খেয়েও ভালো হয়ে যায়। যেমন
* মেথি : মেথিতে রয়েছে প্রচুর গুনাগুনটা তা আমরা সবাই জানি। মেথি গলা ব্যথার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন রোগী ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার যদি গলা ব্যথা হয় তাহলে আপনি মেথির চা বানিয়ে খেতে পারেন । বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মেথির চা খেলে গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
*রসুন : রসুনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ গুনাগুন। তাই রসুন খেলে শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ জনিত রোগ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। রসুন শুধু গলা ব্যথায় দূর করে না তার পাশাপাশি সর্দি কাশি ও বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য নিয়মিত রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ফলে গলা ব্যথা ভালো হয়ে থাকে পাশাপাশি অন্যান্য রোগ ও ভালো হয়ে যায়।
*মধু : মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে গুনাগুন।আমরা প্রতিনিয়তই চা খেয়ে থাকি তাই চা খাওয়ার সময় যদি মধু মিশিয়া খাওয়া হয় তাহলে গলা ব্যথা ভালো হয়ে যায়। মধু গলার কাশি ও অস্থিরতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত মধু খেলে গলা ব্যথা কমে যায়।
ঠান্ডার কারণে গলা ব্যথা হলে আমরা যা করব তা হল
* উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকলে গলা ব্যথা ভালো হতে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে থাকে।
*প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি গলা ব্যথা ভালো হয়ে যায়।
*যাদের গলা ব্যাথার বেশি সমস্যা থাকে তারা সব সময় ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলাই ভালো।
*সব সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করাই ভালো তাদের জন্য যাদের ঠান্ডা লাগে বেশি।
*প্রচুর পরিমাণে গলা ব্যথা করলে করা উচিত।
গলা ব্যথা হলে যে খাবারগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে তাড়াতাড়ি গলা ব্যথা ভালো হয়ে যায় সে খাবার গুলোর নাম হল :
*শুষ্ক জাতীয় খাবার :গলা ব্যথা হলে এই শুষ্ক জাতীয় খাবার খেলে তাড়াতাড়ি গলা ব্যথা ভালো হতে সাহায্য করে থাকে। যেমন টোস্ট বিস্কুট, রুটি ইত্যাদি।
*গরম পানির ব্যবহার : এ সময় গরম পানি সবসময়ই খাওয়া উচিত এবং যেকোনো কাজেই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। তাহলে গলা ব্যথা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
*তাজা ফল ও শাকসবজি : গলা ব্যথা হলে তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। কারণ তাজা ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
*গলা ব্যথা হলে অবশ্যই পুষ্টিকর ও গরম জাতীয় খাবার সব সময় খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত গলা ব্যথা হলে আপনি অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারকে দেখায় ওষুধ সেবন করবেন । এতে গলা ব্যথা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায় ও অন্যান্য বড় কোন রোগের লক্ষণ দেখা দেয় না।
গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম
গলা ব্যথা ও কাশি নিরাময়ের জন্য কয়েকটি সাধারণ ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলো। তবে, এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
গলা ব্যথার জন্য:
1. স্ট্রেপ্টিলস (Strepsils)– গলা ব্যথা এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
2. বেনাড্রিল গার্গল (Betadine Gargle) – গার্গল করার জন্য এন্টিসেপটিক সলিউশন।
3. সিপলোক্স (Cepacol) – গলা ব্যথার উপশমের জন্য লজেঞ্জ।
কাশির জন্য:
1. বেনাড্রিল সিরাপ (Benadryl Syrup) – শুষ্ক ও ভেজা কাশির জন্য কার্যকর।
2. টাসকফ সিরাপ (Tusca Syrup)– শ্বাসকষ্টজনিত কাশি এবং গলা ব্যথায় উপকারী।
3. এমব্রোসিল (Ambroxol) – মিউকাস পাতলা করে কাশি উপশম করে।
গলা ব্যথার জন্য:
1. ট্রাচিসান (Trachisan) – গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা উপশম করে।
2. সলপ্যাড (Solpad) – গলা ব্যথা এবং প্রদাহের জন্য ট্যাবলেট বা গার্গল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
3. হেক্সিলোর লজেঞ্জ (Hexylor Lozenges) – গলার জীবাণুনাশক এবং ব্যথা উপশমকারী হিসেবে কাজ করে।
কাশির জন্য:
1. টুসফল সিরাপ (Tusful Syrup)– সাধারণ কাশি ও গলা ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।
2. ডেক্সট্রোমেথরফ্যান (Dextromethorphan)– শুকনো কাশির জন্য উপযোগী।
3. কফ্রেক্স (Cofrex) – ঠাণ্ডাজনিত কাশি এবং শ্বাসকষ্টের জন্য উপকারী।
4. এন্টিহিস্টামিন (Antihistamine)– এলার্জিজনিত কাশির জন্য ব্যবহার করা হয় (যেমন: সিট্রিজিন বা লোরাটাডিন)।
গলা ব্যথা ও কাশির উপশমের জন্য আরও কিছু ওষুধের নাম ও বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
গলা ব্যথার জন্য:
1. লোজেঞ্জস (Lozenges)– বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লজেঞ্জস পাওয়া যায়, যেমন হলস (Halls) বা রিকোলা (Ricola)। এগুলো গলার অস্বস্তি ও ব্যথা উপশমে কার্যকর।
2. লিডোকেইন স্প্রে (Lidocaine Spray) – গলার ব্যথা কমাতে এনার্জেসিক হিসেবে কাজ করে।
3. ব্লিসটিন (Blistin)– গলা ব্যথা এবং সর্দিজনিত উপসর্গে ব্যবহৃত হয়।
4. স্যালিন ওয়াটার গার্গল (Saline Water Gargle) – লবণ-পানির গার্গল গলার প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
কাশির জন্য:
1. মুকোলাইটিকস (Mucolytics)– শ্বাসনালীতে জমে থাকা কফ পাতলা করে, যেমন ব্রোমহেক্সিন (Bromhexine)।
2. গ্লাইকোডিন (Glycodin) – বিভিন্ন ধরনের কাশির জন্য ব্যবহৃত সিরাপ।
3. লেভোসালবুটামল (Levosalbutamol) – শ্বাসকষ্ট এবং ব্রঙ্কাইটিসজনিত কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
4. কারবোসিস্টেইন (Carbocisteine)– কফ পাতলা করে এবং শ্বাসনালী থেকে তা বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক উপায়:
1. মধু ও আদার মিশ্রণ– প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং কাশি উপশমে কার্যকর।
2. গরম পানির ভাপ – শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং কাশি কমায়।
যদি ওষুধ বা প্রাকৃতিক উপায়ে কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি না পাওয়া যায় বা উপসর্গ গুরুতর হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শেষ কথা : গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে পরলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url