সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয়
বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
প্রসবের পর কতদিন ব্লিডিং হয়
সাধারণত জানা যায় যে প্রসবের পর 40 দিন পর্যন্ত ব্লিডিং হয়। সবার ক্ষেত্রেই একই ভাবে হয়ে থাকে সিজারে হলেও যোনি পথে একই ভাবে রক্ত যায় প্রসবের হলেও দুটো ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। প্রসবের পরপরই ওই দিন অনেক বেশি ব্লিডিং হয়ে থাকে। এটা নিয়ে চিন্তা করার কোন কিছু নেই আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক আসে।
প্রসবের পর একজন মহিলার সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে কতদিন পর্যন্ত তার রক্তপাত অববাহিত থাকে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। দীর্ঘদিন ধরে যদি রক্তপাত হয়ে থাকে এতে রক্তশূন্য হয়ে যেতে পারে তখন নানা রকম রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রসবের পর মহিলাদের কতক্ষণ রক্তপাত হয়ে থাকে
*সাধারণত মহিলারা প্রসবের পর দশ দিন যাবত রক্তপাত অনুভব করে থাকেন।
*তারপর ধীরে ধীরে রক্তপাত হ্রাস পেতে থাকে। এভাবে প্রসবের ছয় সপ্তাহ পর রক্ত হালকা হয়ে আসে।
*তারপরে আস্তে আস্তে অনেক সময় দেখা যায় যে যৌনিস রাব লাল থেকে গোলাপি রং ধারণ করে ও বাদামিয়া হতে পারে।
*পরবর্তীতে অবশেষে যৌনির স্রাবের রং হয়ে থাকে হলুদ রঙের ।
এটা সব সময় নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরের উপর। এরম ঘটনা একেক মহিলার একেক রকম হতে পারে তার জন্য দুশ্চিন্তা করা যাবে না।
প্রসবের রক্তপাত নিরাপদে সামলাবেন যেভাবে তা হল
*প্রসবের সময় রক্তপাত হওয়া স্বাভাবিক। প্রসবের পর যখন ঘন স্রাব আসবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন দরকার নেই। এ সময় তাই প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। এতে রক্ত পুরোপুরি শোষণ করে ও নিরাপদে রাখে আপনাকে।
*এ সময় প্রচুর পরিমাণে ব্লিডিং হয় তাই কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। এতে আপনার যোনিতে ব্যাকটেরিয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।এজন্য এ সময় প্যাড ইউজ করাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
*এ সময় নিজেকে পুরোপুরি আরাম দেওয়া উচিত। প্রসবের পর শরীর পুরোপুরি সুস্থ হয় না। ব্লিডিং হয় বলে শরীর অনেক টাই দুর্বল হয়ে যায় তাই পুরো বেড রেস্টে থাকায় একজন মহিলার জন্য ভালো ও নিরাপদ।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন
*যখন দেখবেন আপনার শ্রাবের সাথে রক্ত জমাট বেঁধে প্রচুর পরিমাণে আসছে। তখন সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন
*আপনার ব্লিডিং যদি প্রচুর পরিমাণে এ সময় হতে থাকে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
*আপনার ব্লিডিং হওয়ার সময় যদি দুর্গন্ধ অনুভব করেন তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
*আপনার যদি ব্লিডিং এর সময় দেখেন যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, বুকের ধরপর যদি বেড়ে যায় ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় তখন আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
*ব্লিডিং এর সময় যদি দেখেন জ্বর আসছে, হালকা ঠান্ডা লাগছে, বমি বমি ভাব অনুভব করছেন তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
তাই নানা কারণে এই সময় সমস্যা দেখা দিলেই তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত না হলে বড় কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাচ্চা হওয়ার ৪০ দিন পর মাসিক হয়
গর্ভাবস্থার সময় থেকে শেষ পর্যন্ত নারীর শরীরে নানা রকমের পরিবর্তন দেখা দেয় এ সময়। এর প্রভাব পড়ে সন্তান প্রসবের পরেও। সন্তান প্রসবের পর নারীরা চিন্তায় থাকে তাদের কখন প্রথম পিরিয়ড শুরু হবে। তাই প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়া এর পুরোটাই নির্ভর করে একজন মায়ের উপর। বাচ্চা হওয়ার পর ৪০ দিন পর মাসিক যদি কারো হয় তাহলে তার বাচ্চা বুকের দুধ খায় এজন্যই পরে মাসিক হয়ে থাকে। এ বিষয় নিয়ে অনেক মহিলাই চিন্তায় থাকেন। তাই ডাক্তারগণ এ বিষয়ে বলেছেন যে এই মাসিক হওয়ার পুরোটাই নির্ভর করে থাকে বাচ্চাকে কি পরিমাণ বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তার উপর।
*আপনি নরমালে বা সিজারে যেভাবেই বাচ্চা নেন না কেন আপনার বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক শুরু হওয়াটা নির্ভর করে থাকে পুরোটাই আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর উপর। এটা ৪০ দিন আগেও হতে পারে আবার 40 দিন পরে হতে পারে।
*যদি কোন মা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়াই সে ক্ষেত্রে তার প্রথম পিরিয়ড শুরু হয় বাচ্চা হওয়ার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে।
তাই এ সময় বাচ্চার মাকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। খাদ্য তালিকায় সবসময় শাক সবজি, ফলমূল, ডিম দুধ লেবু ইত্যাদি রাখতে হবে। এ সময় পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।এসময় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি থাকে তাই সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে নিজের শরীরের প্রতি। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পরে মাসিক বন্ধ হয়
সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার পরের মাস থেকে মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে সবার ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে গর্ভবতী হয়েছেন কিন্তু মাসিক বন্ধ হচ্ছে না কন্টিনিউ হচ্ছে এরকম খুব কমই দেখা যায়। তাই বলা হয় মহিলাদের সহবাসের পরের মাসে যদি পিরিয়ড অফ থাকে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন প্রেগন্যান্ট। তারপর আপনি পরীক্ষা করে দেখবেন আসলে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা। কারন শুধু মাসিক বন্ধ হয়ে থাকায় যে প্রেগন্যান্ট এর কারণ তা কিন্তু না। অনেক সময় অনেক কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে।
আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা
*গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হল পিরিয়ড অফ থাকা।
*দ্বিতীয়ত দিনের বেশিরভাগ সময় আপনার বমি বমি ভাব হবে, মাথা ঘুরবে, স্তন শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
*এ সময় শরীর দুর্বল ভাব বেশি দেখা যায় ও শরীরে ব্যথার অনুভব হয়ে থাকে হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার জন্য।
আপনার মধ্যে যদি এসব লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে আপনি পুরোপুরি প্রেগন্যান্ট। তাই আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্টে করুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাসিক বন্ধ না হলে করনীয়
দীর্ঘদিন ধরে মাসিক যা মনোরেজিয়া নামে পরিচিত। যাদের মাসিক বন্ধ হয় না বা দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাদেরকে মনোরেজিয়া মাসিক বলা হয়। হরমোনের বিভিন্ন ভারসাম্য তার জন্য এই লক্ষণ দেখা দেয়। তাই দীর্ঘদিন মাসিক হলে নানা রকমের ক্ষতি হতে পারে শরীরের। অনেক সময় দেখা যায় যে রক্ত হতে পারে। এজন্য তাড়াতাড়ি ডাক্তারের উচিত।
মাসিক বন্ধ না হওয়া বা দীর্ঘদিন ধরে মাসিক হওয়া বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় হল
*এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানিতে রয়েছে হাইড্রেটেড। যা রক্তের পরিমাণ বজায় রাখতে মাসিকের সময় স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে সাহায্য করে থাকে।
*এ সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে যায় এজন্য রক্ত স্বল্পতার রোধ করার জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। যেমন সবজি, মটরশুঁটির, শক্তিশালী খাদ্য ইত্যাদি।
*জরায়ুর পেশিগুলোকে ট্রল করতে কিছু ভেষজ জাতীয় খাদ্য খেতে হবে। যার রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। যেমন ভেষজ চা।
*এ সময় হট ব্যাগ ব্যবহার করলে পেটের ব্যথা ও উষ্ণ সংকোচন কমায় এর মাসিকের চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
*ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন ভিটামিন সি যার রক্ত লালীকে কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে। রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।
এরপরেও যদি কোন ভাবে রক্তপাত বন্ধ না হয় সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তারের নিয়ম অনুসারে ওষুধ সেবন করতে হবে।
বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয়
অনেকেরই অনেক সময় দেখা যায় যে বাচ্চা হওয়ার পর অনেকদিন যাবত মাসের বন্ধ থাকে। এটা নিয়ে তখন অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকে। অনেক রোগী এই সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে যায়। তাই ডাক্তাররা গবেষণা করে দেখেছেন যে সাধারণত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে যেসব মা বাচ্চাকে প্রতিদিন বুকের দুধ খাওয়ান তাদের। কারণ তাদের বুকের দুধের সাথে এক ধরনের হরমোন বের হয়ে আসে। দুধ তৈরির জন্য শরীরে এক ধরনের ওভ্যুলেশন সাসপেন্স হয়ে থাকে। এই ওভ্যুলেশন না হলে মেয়েদের মাসিক হয় না। তাই এ সময় বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে দুধ খাওয়ালে মেয়েদের তখন মাসিক বন্ধ থাকে।
*তাই এ সময় মাসিক বন্ধ থাকলে বাচ্চার বয়স ৬ মাস পার হওয়ার পর আপনি যদি পিল খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার মাসিক নিয়মিত শুরু হবে।
তাই এ সময় মাসিক না হওয়া নিয়ে চিন্তা করবেন না সবাই নিয়ে দেখবেন যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর মেলামেশা করলে গর্ভবতী হবে না :
বাচ্চা হওয়ার পর সাধারণত মেলামেশা করা এটা একান্ত আপনার উপর নির্ভর করে। কিন্তু অনেকে এ সময় বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তাড়াতাড়ি সহবাসে যায় না। সাধারণত বাচ্চা হওয়ার ছয় সপ্তাহে পর্যন্ত মেলামেশা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। এরপরে আপনি কন্টিনিউ করতে পারেন। সন্তান জন্ম হওয়ার পর আপনি যখন মনে করবেন আপনি সহবাসের জন্য তৈরি তখন থেকেই আপনি সহবাস করতে পারবেন।
বাচ্চা হওয়ার পর আপনি যদি পুনরায় গর্ভবতী না হতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সহবাসের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি ভুলক্রমে হয়ে যান এটা আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে। ডাক্তার বলেছেন যে কমপক্ষে ১৮মাস অপেক্ষা করা উচিত। তাই সন্তান জন্মের পর প্রতিবার সহবাসের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। কারণ প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এই সময় গর্ভবতী হওয়া ঝুঁকি বেশি থাকে পুনরায় আবার।
তাই বাচ্চা হওয়ার পরই যদি আপনি মেলামেশা করেন তাহলে খেয়াল রেখে তারপরে মেলামেশা। এতে আপনার বাচ্চা ভালো থাকবে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। নিজের খেয়াল মত চললে গর্ভবতী হওয়ার কোন সুখে থাকবে না তাড়াতাড়ি।
সিজারে বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
সাধারণত সিজারে বাচ্চা হয় অস্ত্রপাচার দ্বারা। যৌনির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার বদলে এখানে অস্ত্র পাচার করে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। এটাকে সিজারে বাচ্চা হওয়া বলে। সাধারণত সিজারে বাচ্চা হওয়ার পর মায়ের মাসিক হয় সন্তান এর দুধ খাওয়ার উপর নির্ভর করে।
*সিজারে বাচ্চা হওয়ার পর প্রথম মাসিক সাধারণত হয়ে থাকে আপনার হরমোন গুলোর উপর নির্ভর করে।
*বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে এবং পিরিয়ড হতে দেরি হয়।
তাই বলা হয় যে মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের পিরিয়ড ফিরে আসতে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে কোন কারনে অনিয়ম হলে পিরিয়ড হতেও পারে। এটা আপনি যদি আপনার সন্তানকে বুকের দুধ কম খাওয়ার সে ক্ষেত্রে আপনার আগেই পিরিয়ড হয়ে যেতে পারে তার উপর নির্ভর করে।
*আপনি যদি আপনার সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ান সে ক্ষেত্রে আপনার পিরিয়ড ছয় সপ্তার মধ্যেই ফিরে আসতে পারে।
তাই এ সময় লক্ষ্য করে দেখবেন যে আপনার পিরিয়ড হচ্ছে কি হচ্ছে না। আপনার পিরিয়ড কতদিন পর হচ্ছে ইত্যাদি কারণে আপনার যদি কোন ক্ষতি হয় সেজন্য আপনি আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নিলে পিরিয়ডের নানা রকমের অনিয়ম হয়ে থাকে। জরায়ুতে অষ্টপাচারের কারণে এ সময় শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। তাই হরমোনের মাত্রা যতদিন স্বাভাবিক হয় না ততদিন পিরিয়ডের অনিয়ম পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই এ সময় সাধারণত পিরিয়ড আপনার হরমোন এর উঠানামা ও শরীরের সুস্থতার উপর নির্ভর করে সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে।
সিজারে বাচ্চা হওয়ার পর প্রথম পিরিয়ড যেমন হয় তাহলে
* এ সময় মাসিকের সময় প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় খিচুনির মতো সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক বেদনাদায়ক পিরিয়ড হতে পারে এ সময়।
*জরায়ুতে অস্ত্র পাচারের ফলে এ সময় পিরিয়ড ভারী ভোগ করতে পারেন । জরায়ুর দেওয়ালে অস্ত্রপাচারের ফলে এ সময় এই পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিছু সময়ের জন্য এ সমস্যাটি হতে পারে কিন্তু যদি দেখেন দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে তখন আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
*এ সময় তুলনামূলক পিরিয়ড হতে পারে এটা নিয়ে চিন্তা করা যাবে না এটা আপনার হরমোন উঠান আমার নির্ভর করে হয়ে থাকে।
সিজার করার পর অনিয়মিত পিরিয়ড
সিজার করার পর বেশিরভাগ মহিলার অনিয়মিত পিরিয়ড দেখা দেয়। এ সময় মাসিক চক্র স্বাভাবিক হতে অনেক দিনই সময় লেগে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় ২৮ দিন পরও পিরিয়ড হয়। এই অবস্থা সাধারণত বিভিন্ন কারণেই হয়ে থাকে। শরীরে পুষ্টির অভাব, ওজন কমে যাওয়া, বেশি ওজন বৃদ্ধি, ধকল, থাইরয়েডের কোন অবস্থা ইত্যাদি কারণে।
কখন চিকিৎসা করাবেন
*কিছু অন্যরকম সমস্যা দেখা দিলে যেমন আপনার প্রচুর পরিমাণে ব্লিডিং হচ্ছে, একটু পর পর আপনাকে প্যাড চেঞ্জ করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আপনার রক্তশূন্যতা হতে পারে। এজন্য আপনাকে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
*জ্বর হলে :সাধারণত পিরিয়ডের সময় আপনার যদি জ্বর হয় সেটার কারণ জানার জন্য আপনাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এ সময়।
*দীর্ঘদিন ধরে চলা পিরিয়ড :আপনার পিরিয়ড সাধারণত কতদিন হচ্ছে তার চেয়েও যদি বেশিদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
*তীব্র ব্যথা :পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হয় স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত যদি ব্যথা হয়। যে আপনি সহ্য করতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
*শরীর দুর্বল ও ক্লান্তি : পিরিয়ডের সময় শরীর দুর্বল হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু প্রচন্ড রকমের দুর্বল ও ক্লান্তি যদি লাগে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। কারণ এ সময় গায়ে রক্ত কম থাকলে এরকম দেখা দিতে পারে।
তাই এ সময় পিরিয়ডের এগুলো নিয়ে চিন্তা না করে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা : বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না বাচ্চা হওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয় - সিজারে বাচ্চা হওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় সম্পর্কে জানতে পারলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url